আজকাল আমরা কর্মব্যস্ততার জীবন অনেক সময়েই শরীরের দিকে নজর দিতে ভুলে যাই। একটানা কাজ, মানসিক চাপ, ভুল খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব এবং শারীরিকভাবে কম সচল থাকার কারণে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক সময়েই শরীরের অনেক পরিবর্তন অনুভব করে থাকি। কিন্তু অনেকের মধ্যেই সেই পরিবর্তনগুলি উপেক্ষা করার প্রবণতা রয়েছে। যার ফলে শুধুমাত্র দায়িত্বহীনতা এবং অসতর্কতার জন্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে দেখা যায়। তাই বেশ কয়েকটি লক্ষণ নজরে এলে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ক্লান্তি
সারাদিন কাজ করার পর কিংবা আগের রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে ক্লান্ত হয়ে পড়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় ক্লান্ত এবং আলস্য অনুভব করা একটি গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্লান্তি, অস্থিরতা হার্টের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তাই সবসময় ক্লান্ত বোধ হলে কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে কি না পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

সবসময় প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হওয়া
প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এবং বার বার প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব করা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। আবার মূত্রনালীর সংক্রমণের জন্যেও এই লক্ষণ দেখা যায়। কিডনিতে পাথর এবং পিত্তথলির সংক্রমণের মতো গুরুতর সমস্যার কারণেও বার বার প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হয়।

কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া
হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে আমরা অনেক সময়ই খুশি হই। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়া আচমকা ওজন কমে যাওয়া আসলে চিন্তার লক্ষণ। এভাবে ওজন কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে অগ্ন্যাশয়ের সংক্রমণ, কোলাইটিস, আলসার, এমনকী বিষণ্ণতাও। তাই ওজন হ্রাসের পিছনে কোনও গুরুতর রোগ লুকিয়ে আছে কি না জানতে পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।

দীর্ঘদিন কাশি
করোনাকালে সর্দি কিংবা কাশিকে কেউই হালকাভাবে নেয়নি। কিন্তু কোভিড ছাড়াও যদি কারও ধারাবাহিকভাবে কাশি থাকে তাহলে তা পালমোনারি, ফুসফুস কিংবা শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ কিংবা টিউবারকিউলোসিসের লক্ষণ হতে পারে। তাই ২ সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

ঝাপসা দৃষ্টি
অনেক সময় আমরা ঝাপসা দৃষ্টির জন্য চোখের পাওয়ার বেড়েছে বলে মনে করি। কিন্তু যদি ঘন ঘন চেকআপ এবং চশমা বদলের পরেও চোখ ঝাপসা থাকে তাহলে সেটি ডায়াবেটিস, স্ট্রোক কিংবা চোখের কোনও গুরুতর সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।